হযরত শাহসূফী ফতেহ আলী ওয়সী (রঃ) সাহেবের ১টি কারামত

হযরত শাহসূফী ফতেহ আলী ওয়সী(রঃ) ছাহেবের একজন মুরীদ ও অন্যতম খলিফা ফতুহুল ওলামা হজরত মাওলানা গোলাম ছালমানি (রাঃ) সাহেব বলেন যে, এক দিবস কলিকাতা আলিয়া মাদ্রাসার মোদাররেস্ হজরত মাওলানা সায়াদাত হোসেন সাহেব আমার পীর সাহেবের খেদমতে বসিয়াছিলেন। হযরত শাহসূফী ফতেহ আলী ওয়সী (র.) পীর সাহেব একটা হাদিস সম্বন্ধে আলোচনা করিতেছিলেন, ইহা শ্রবণ করিয়া হজরত মাওলানা সায়াদাত হোসেন সাহেব বলিলেন, হুজুর! এই হাদিসটি রাসুলে পাকের (সাঃ) ছহিহ হাদিস নহে।
হযরত শাহসূফী ফতেহ আলী ওয়সী পীর(রঃ) সাহেব বলিলেন, না মওলানা সাহেব, ইহা রাসূলে পাকের সহিহ হাদিস। মাওলানা ছাহেব তবুও ইহা অস্বীকার করিতে ছিলেন। এমতাবস্থায় হঠাত তিনি বেহুশ হইয়া গেলেন। হজরত হযরত শাহসূফী ফতেহ আলী ওয়সী(রঃ) সাহেব তাঁহার অন্যতম খলিফা সামছূল ওলামা মওলানা গোলাম ছালমানি সাহেবকে এরশাদ ফরমাইলেন, বাবা তুমি মাওলানার মস্তকে পানি ঢালিয়া দাও।পানি ঢালা হইল। অল্পক্ষণ পরে হজরত মাওলানা সায়াদাত হোসেনের হুশ ফিরিয়া আসিল।তিনি বলিলেন, জী হাঁ, হজরত ওয়সী (রঃ) সাহেব, হাদিসটি নিশ্চয়ই রসূলে পাকের সহিহ হাদিস। তারপর হজরত সায়াদাত হোসেন সাহেব চলিয়া গেলেন।
শামছূল ওলামা হজরত মাওলানা গোলাম ছলমান সাহেব পীর কেবলা সাহেবকে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করিলেন। ইহাতে হজরত পীর কেবলা বলিলেন যে, মাওলানা একটি হাদিসের সহিহ হওয়া অস্বীকার করিতেছিলেন, এই জন্য আমি তাঁহার উপর এস্তেগফারের ফয়েজ নিক্ষেপ করিয়া হজরত নবী করীম (সাঃ) এর জিয়ারত করাইয়া দিলাম। হজরত নবী করিম (সাঃ) এরশাদ ফরমাইলেন যে, হে সায়াদাত হোসেন! আমার আশেক যে হাদিসটির সম্বন্ধে তোমার সহিত আলোচনা করিয়াছেন, এই হাদিসটি আমার সহিহ হাদিস। ইহা শ্রবণ করিয়া মাওলানা সায়াদত হোসেন উক্ত হাদিসের সহিহ হওয়া স্বীকার করিয়া লইলেন।(সূত্রঃ হায়াতে ওয়সী)