Header Ads

বিভিন্ন দেশ থেকে ডাঃ জাকির নায়িক কে দেওয়া হচ্ছে কাফির ফাতওয়া!!


বিভিন্ন দেশ থেকে ডাঃ জাকির নায়িক কে দেওয়া হচ্ছে কাফির ফাতওয়া!!                  
  
 ঈমানের অসংখ্য বিষয়ের মধ্যে একটি বিষয় নিয়েও কেউ বিরুপ মন্তব্য করলে কিংবা অস্বীকার বা  উপহাস করলে অথবা অবমাননা করলে, ইসমালের বিধান মতে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যায় এবং যে ঈমানহারা কাফির হয়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রশ্ন হল, ইসলামে এতগুলো বিষয়ে পথভ্রষ্টতা ও আপত্তিকর উক্তির কারনে ডাঃ জাকির নায়িকের উপর কি কাফির ফাতাওয়া দেওয়া  যায় বা তাকে কাফির বলা যাবে?

ভারতের লাক্ষ্মৌ কাজী মুফতি আবুল ইরফান কাদভী সাহেব সুন্নি অনেক উলামা কনফারান্সে ডাঃ জাকির নায়িকের ভ্রান্ত বিষয় সমুহ উন্থাপনপূর্বক তাকে কাফের বলে ফাতাওয়া দিয়েছেন। তিনি এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ডাঃ জাকির নায়িক কর্তৃক ইয়াজিদের ব্যাপারে রাহিমাহুল্লাহ(আল্লাহ তার উপর রহমত দান করুন) বলা এবং তাকে জান্নাতি বলে মন্তব্য করা, তাছাড়াও ইস্প্লামের নামে সন্ত্রাসবাদের প্রতি ডাঃ জাকির নায়েকের  সমর্থন প্রভুতি কারনে তাক কাফির ফাতওয়া দেন। তখন এ বিষয়টি ভারতের ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে কভারেজ পায়।অপরদিকে মুম্বাইয়ের এক কনফারেন্সে ডাঃ জাকির নায়েকের বিতর্কিত উক্ত আজ কে তারিখ মে মূহাম্মদ (সাঃ) কো ভি মাননা হামারে লিয়ে হারাম হ্যায় এর কারনে ভারতের মুসমান্দের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং অনেকে তাকে কাফির ফাতওয়া দেন। এ নিয়ে তখন ভারতে মুসলমানগণ ডাঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে জনসভা ও মিছিল করে।

আর এরই সূত্র ডাঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।এবং তখন হাইকোর্টের পক্ষ থেকে ডাঃ জাকির নায়িকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয় এবং মুম্বাইতে তার কনফারেন্সের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। পরিশেষে ডাঃ জাকির নায়েক ভাষাজ্ঞান সম্পর্কে তার অনভিজ্ঞতার কথা উল্লেক করতঃ সে উক্তিটি সবকতে লেসানি (মুখ ফসকে বের হওয়া ভুল) বলে প্রত্যাহার করে নেয় এবং ভবিষ্যতে এ রকম ভুল কথা না বলার অঙ্গীকার করে মুচলেখা দিয়ে হাইকোর্টে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক জামিন লাভ করেন।



 তাছাড়া বিভিন্ন দেশের মুফতীগন ডাঃ জাকির নায়েক কে কাফির বলে ফাতওয়া দিয়েছেন।


#বেরলবী শরীফ থেকে কাফির ফাতওয়াঃ
ভারতের ইমামে আহলে সুন্নাহ আহমেদ রেযা খান ফাযেলে বেরলভী(রহঃ)এর দরবার থেকে অনেক মুফতিয়ানে কেরামের সাক্ষরসহ ডাঃ জাকির নায়েককে কাফির ফাতওয়া দিয়েছেন।

#ভারতের দেওবন্দের আলেমগণ থেকে কাফির ফাতওয়াঃ
দেওবন্দীদের দ্বীনী শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উলুম দেওবন্দ-এর পক্ষ থেকে ডাঃ জাকির নায়েক কে দ্বল্লা ওয়া মুদ্দিল্লু(সে নিজে পথভ্রষ্ট এবং অন্যকে পথভ্রষ্টকারী) আখ্যা দেয়া হয়েছে এবং তার গোমরাহির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে সকল মুসলমানদের কে সতর্ক করা হয়েছে।(ফাতওয়া বিভাগ দারুল উলুম দেওবন্দ,ফাতওয়া নং ৩১৩৯২, ফাতওয়া প্রদানের তারিখঃ১০ই এপ্রিল-২০১১ইং)।



#পাকিস্তান মুফতীদের থেকে কাফির ফাতওয়াঃ


পাকিস্থানের অনেক আলেম দেওবন্দী মাদ্রাসা যেমন জামায়ায়ে দারুল উলুম করাচীর পরিচালক মারিফুল কোরান প্রনেতা মুফতি শফীর ফেলে মাওলানা তাকী উসমান। তিনি দাঃ জাকির নায়েক সম্পর্কে ফাতওয়া দেয়ঃ

মানুষ মনে করে ডাক্তার জাকির নায়েক একজন অভিজ্ঞ ধর্মবেত্তা এবং ইসলাম সম্পর্কে তার যতেষ্ট জ্ঞান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। তিনি কোন অভিজ্ঞ ইসলামিক স্কলার বা আলেম-মুফতি নন। তাছাড়া তিনি আইয়ামে মুজতাহিদিন বা চার ইমামের অনুসরন শুধু পরিত্যাগ করেননি, বরং তিনি সকল ইমামগণের সমালচনা করে তাঁদের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করেছেন

  • জামেয়া বিন্নরিয়া করাচি হতে তার লেকচার শুনা থেকে সতর্কতার লক্ষে ফাতওয়া দিয়েছেন যে তার লেকচার শুনা হারাম।
  • পাকিস্থানের প্রসিদ্ধ আলেম ড. তাহেরুল আল-কাদেরীও তাকে ইয়াযিদের প্রশংসার কারনে এবং আরও বিভিন্ন বিষয়ের কারনে তাকে কাফির ফাতওয়া দিয়েছেন।
  • অপরদিকে প্রখ্যাত আলেম আল্লামা ফারুক খান রেজভীও তাকে কাফির এবং তার গোমরাহী থেকে মানুষকে দূরে থাকার আহব্বান করেছেন।


# শরীয়া ইনষ্টিটিউট আমেরিকা থেকে কাফির ফাতওয়াঃ

এ বিষয়ে আমেরিকান প্রখ্যাত ইসলামিক সেন্টার শরীয়া ইনস্টিটিউট আমেরিকার পক্ষ থেকে ডাঃ জাকির নায়েক কে নিম্ন বর্ণিত ফাতওয়া দেওয়া হয়েছেঃ-

ডাঃ জাকির নায়েকের অনেক কথা বার্তাই ভুল। তার অনেক চিন্তাধারা কুরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে সঠিক নয়। তা ছাড়া তিনি ইসলামের অভিজ্ঞ স্কলার নন। তাই তার অনেক রেফারেন্স যথার্থ হয় না।

#দারুল হাদিস দাম্মাজ ইয়েমেন থেকে কাফির ফাতওয়াঃ

ইয়েমেনের প্রসিদ্ধ ইসলামী মারকায দারুল হাদীস দাম্মাজ ইয়েমেন এর পক্ষ থেকে উক্ত মারকাযের প্রধান মুফতী শাইখ ইয়াহইয়া ইবনে আবু আবদূর রাহমান আল-হাজুরী 

(৩০ টি প্রশ্নের জবাব-রয়গুলো প্রমান করে যে, হিন্দুস্থানী জাকির নায়েক ও তার চিন্তাধারার অনুসারীরা গোমরাহ) নামে দলীল-প্রমানসহ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে সুদীর্ঘ ফাতওয়া প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি প্রমান করেছেন যে।ডাক্তার জাকির নায়েক ভুল পথে রয়েছেন এবং তিনি হক থেকে বিচ্যুত ও গোমরা।


# বাংলাদেশ থেকে কাফির ফাতওয়াঃ


বাংলাদেশের বিজ্ঞ সমস্ত আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আলেমগন ডাঃ জাকির নায়েক কাফির হওয়ার উপর একমত। তাকে ইয়াযিদের প্রশংসার জন্য এবং নবীজিকে হায়াতুন্নবী(সাঃ)অস্বীকারসহ বিভিন্ন বাতিল আকিদার কারনে তাকে কাফির হওয়ার বিষয়ে একমত। শহিদে মিল্লাত আল্লামা  শাইখ নুরুল ইসলাম ফারুকী(রহঃ) ও তাকে কাফির হওয়ার মত মাই টিভি চ্যানেলের এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেরশের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আলেমদের মত প্রকাশ করেন।তাছাড়া বাংলাদেশের উচ্চস্তরের ২৩ জন আলেম কাফির হওয়ার ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেছেনঃ-
তন্নধ্য উল্লেখ যোগ্য ঃ
১।ইমাম আহলে সুন্নাহ আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী(মা.জি.আ.)।
২।আল্লামা মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন আলকাদেরী(মা.জি.আ.)   
     ৩। আল্লামা ছগীর উসমানী (মা.জি.আ.)। 
     ৪। আল্লামা ওবায়দুল হক নঈমী(মা.জি.আ.)। 
     ৫। আল্লামা মুফতি সৈয়দ অছিয়র রাহমান (মা.জি.আ.)।
     ৬। আল্লামা মুফতী কাযি আব্দুল ওয়াজেদ (মা.জি.আ.)।
     ৭।আল্লামা কাযী মুঈন উদ্দিন আশরাফি (মা.জি.আ.)।
     ৮।আল্লামা হাফেজ আশরাফুজ্জামান আল-কাদেরী (মা.জি.আ.)।
     ৯। আল্লামা হাফেজ কাযী আব্দুল আলীম রেজভী (মা.জি.আ.)।
   ১০।পীরে ত্বরিকত ছৈয়দ আল্লামা শামসুদ্দোহা বারী (মা.জি.আ.)।


# বাংলাদেশ আহলে হাদিস আলেমদের থেকে কাফির ফাতওয়াঃ

বাংলাদেশের অনেক আহলে হাদিস আলেমরাও তাকে অন্ধভাবে অনুসরন করা নিষেধ বা হুশিয়ার করেছেন। আহলে হাদিস ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরও তার এক লাইভ চ্যানেল লেকচারে ডাঃ জাকির নায়িকের অনেক ভুল মাসায়ালার কথা বর্ণনা করেন এবং টাই পড়া হারাম বলে ঘোষনা দিয়েছেন।
সমকালীন আহলে হাদিস শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফও তার টাইকে হারাম বলতে গিয়ে  জাকির নায়েকের সমালোচনা করেন। বাংলাদেশের আহলে হাদিসের প্রসিদ্ধ আলেম ড. শায়খ আব্দুল্লাহ ফারুকী জাকির নায়েক অনেক ফাতওয়া ভুল দিয়েছেন বলে তিনি তার এক বক্তব্য উল্লেখ করেছেন।

 



উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলোর ভিডিও দেখুন নিচে লিংক দেওয়া হলোঃ   
ইউটিউবে গিয়ে সার্চ দিনঃ জাকির নায়েক বাহাসে হারল না জিতল;আহলে সুন্নাত। 










Powered by Blogger.