৯ এপ্রিল ২০০৫ পল্টন ময়দানে জাকের পার্টির চেয়ারম্যানের ভাষণ
জাকের পার্টির
মহামান্য চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সাল মুজাদ্দেদী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেন,জামায়াতে ইসলামকে চার দলীয় জোট
থেকে অনতিবিলম্বে ধাক্কা মেরে বের করে দেন। আপনারা যদি কাজ করেন জনগণ আপনাকে
সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় আনবে।তিনি
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি জামাতকে কেন সঙ্গে নিয়েছেন?এই দেশবিরোধী
অপশক্তি কোনদিন দেশের মঙ্গল করবে না।তিনি
বলেন,জামায়াত ইসলাম সরকারের উপর সওয়ার
হয়েছে। ৭১-এর স্বাধীনতাযুদ্বে তাদের ভূমিকা আপনারা জানেন। নারী ধর্ষণকে তারা বৈধ
ঘোষণা করেছিল। কিছুদিন আগেও মহিলাদের নেতৃত্বকে অনৈসলামিক ঘোষনা করেছিল।এখন আবার
মহিলাদের নেতৃত্বেই তারা ক্ষমতায় অধিষ্টিত
হয়েছে। অথচ ৩০ লাখ শহীদের পরিবার না খেয়ে ধুকে ধুকে মরছে তাদের দিকে কোন খেয়াল
নেই। আজ স্বধীনতা বিরোধীর গাড়িতে ফ্ল্যাগ উড়ে।
বিগত ৯ এপ্রিল
২০০৫ রোজ শনিবার ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে
লক্ষাধিক ম্মানুষের মহাসমুদ্রে বক্তৃতাকালে
জাকের পার্টির মহামান্য চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সাল মুজাদ্দেদী এ কথা বলেন।জাকের পার্টির পল্টন জনসমাবেশকে
ঘিরে সেদিন মিছিলের নগরীর পরিনিত হইয়েছিল রাজধানী ঢাকা।চৈত্রের তীব্র দাবাদাহ
উপেক্ষা করে সকাল থেকেই পল্টনে একে একের পর এক বর্ণিল মিছিল আসতে থাকে। বেলা বাড়ার
সাথে সাথে মুহুর্মুহু শ্লোগান আর মিছিলের তীব্রতায় রাজধানী মুখরিত
হয়েউঠে।বিশেষ করে ব্যান্ড পার্টিসহকারে
ধুতি-পাঞ্জাবী পরিহিত হিন্দু সম্পদায়ের কয়েক হাজার মানুষের বর্ণাঢ্য মিছিল
জনসমাবেশে ভিন্নমাত্রা যোগদেয়। জনসমাবেশে পার্টির চেয়ারম্যান জাতীয় সংকট নিরসনে ৭
দফা দাবী উন্থান করেন। একই সাথে তিনি প্রায় দুমাস ব্যাপী দলীয় কর্মসূচীর ঘোষণা
দেন। কর্মসূচী হল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের শহর,বন্দর,গ্রামগঞ্জে জাকের পার্টির
আদর্শ উদ্দেশ্য প্রচারে ব্যাপক গণসংযোগ,৫মে থেকে ৪ঠা জুন পর্যন্ত সারাদেশে জাকের
পার্টির সদস্য সংগ্রহ অভিযান এবং ৯ জুন সারাদেশে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে জনসভা
অনুষ্ঠিত হবে।পরবর্তী কর্মসূচী জাকের পার্টির মহামান্য চেয়ারম্যান জানিয়ে দেবন বলে ঘোষণা করেন।
জাকের পার্টির
মহামান্য চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সাল মুজাদ্দেদী সাহেব বলেন, যতক্ষন পর্যন্ত আমাদের দাবী আদায়
না হবে,যতদিন পর্যন্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে না উঠবে,যতদিন পর্যন্ত স্বাধীনতার সুফল
আমরা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে না পারব ততদিন পর্যন্ত জাকের পার্টি রাজপথে আছে এবং থাকবে।তিনি
সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন যে কোন ত্যাগের বিনিময়ে আপনারা কি প্রস্তুত আছেন? এ সময় জনতা দু;হাত
তুলে সমস্বরে তাদের সম্মতি জানায়। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে শান্তিপূর্ণ।
কিন্তু অশান্তি যদি আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় তা কিভাবে প্রতিরোধ করতে হয় জাকের পার্টির কর্মীরা তা জানে। উগ্র
মৌলবাদীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,যদি আমাদের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে চাও তাহলে মনে রাখতে হবে আমাদের হাতে তিনটি অস্ত্র
আছে।একটি হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার রহমত।একটি
রাসুল (সাঃ) ও আমার জেন্দাবাবার দোয়া, আরেকটি
জাকের পার্টির কোটি কোটি নেতা-কর্মীদের হাতের লাঠি যার কোন লাইসেন্স
লাগেনা।
জামায়েত
ইসলামের উদ্দেশ্যে তিনি তীব্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,৭১-এর চাইতেও ভয়াবহ
পরিণতি হবে তোমাদের। আশা করি তোমাদের বোধোদয় হবে। তোমাদেরা অস্ত্র নিক্ষেপ
করো।অস্ত্র ফেলে দাও। তোমরা শান্তির পথে আসো। তোমরা মানুষকে সুশিক্ষা দাও।কুশিক্ষা
থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে আনো। যারা সত্যিকারের ইসলাম প্রচারকারী তাদেরকে শ্রদ্বা
করতে সেখ এবং শ্রদ্বা করতে শেখাও। আর রা না হলে তোমারা মনে রাখবে ৭১-এর চেয়ে ভয়াবহ
পরিণতি তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।জাকের পার্টির
চেয়ারম্যান বলেন,আমাদের এবারের আন্দলোন বাংলাদেশকে উন্নত বাংলাদেশ হিসাবে
গড়ে তোলার আন্দোলন। এই দেশে বৌদ্ব, খ্রীস্টান,হিন্দু মুসলিম সবাই শান্তিতে
ঘুমাবে।সবাই শান্তিতে থাকবে।সবাই একসাথে বসবাস করবে।কেউ কার উপরে হস্তক্ষেপ করতে
পারবে না। ধর্মের নামে কোন প্রকার হত্যাকাণ্ড ঘটতে দেয়া হবে না।তিনি আর বলেন,
ইসলাম সহনশীলতার ধর্ম। এ সত্য ইসলাম আমাদের শিক্ষা দিয়েছন রাসুলে পাক (সাঃ)। বিশ্ব
ওলী হযরত শাহসুফি খাজাবাবা ফরিদপুরি(কুঃছেঃআঃ)সাহেব সেই প্রেমের ইসলাম,ভালবাসার
ইসলাম আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন।আমরা সে ইসলাম বিশ্বাস করি। মওদুদিবাদের বিশ্বাস
করিনা,আব্দুল ওহাব নজদির কথায় আমরা বিশ্বাস করিনা।
জাকের পার্টির
চেয়ারম্যান আর বলেন, আমি হিন্দু ভক্তফ্রন্ট খুলেছি।আর অন্য ধর্মাবলম্বী
বৌদ্ব,খ্রীষ্টান,আপনারাও যদি চান তাহলে ফ্রন্ট খুলতে পারে।দারুল ইসলাম নিজেই
ধর্মনিরপেক্ষ। ইসলাম সহনশীলতার ধর্ম।রাসুলে পাক (সাঃ)সেই সহনশীলতা শিক্ষা দিয়েছেন।
বিদায় হজের ভাষণে দয়াল নবি ধর্মনিয়ে বাড়াবাড়ী করতে নিষেধ করে গেছেন।তিনি বলেন,আমরা
৯০ ভাগ মুসলমান হওয়া স্বত্ত্বেও হিন্দু,বৌদ্ব,খ্রীষ্টান হাজার বছর আমরা একসাথে বাসকরে আসছি। আমাদের মধ্যে কোন
গোলযোগ হয় না।আর হবেও না ইনশাআল্লাহ্। যত চেষ্টাই করেন না কেন?যত জেহাদই করেন না
কেন?তিনি জামাতের প্রতি প্রশ্ন করে বলেন,৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে কিসের জেহাদ?কোথয়
জেহাদ?মধ্যপ্রাচ্যে যান না কেন? ইসরাইলের বিরুদ্বে আস্ত্র তুলে ধরেন।দেখি কেমন
বুকের পাঠা? পারবেন না? মরবেন সেখানে। অতএব,নিরাপদ জায়গা বেছে নিয়েছেন। গরীব দুঃখী
মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছেন,বিদেশে থেকে টাকা আনছেন এবং সে তাকা আত্মসাৎ করছেন।
তিনি বলেন,বন্ধ
করেন এই রাজনীতি।নয়তো জনগণ আপনাদের আস্থাকুড়ে নিক্ষেপ করবে।জনগণ অপরাজনীতি বন্ধ
করতে বাদ্ধ হবে। অপরাজনীতি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত জাকের পার্টি রাজপথে আছে রাজপথেব
থাকবে ইনশাআল্লাহ্।জাকেরর পার্টির চেয়ারম্যান বলেন,স্বধীনতার ৩৪ বছর অতিক্রম হয়ে
গেছে এখনো পর্যন্ত আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে মাথ তুলে দাঁড়াতে
পারিনি।উন্নতরাষ্ট্র হিসাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে
পারিনি। এখনো আমাদের দেশে শতকরা ৮০
ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে। আমাদের দেশে ৪ কোটির বেশি মানুষ বেকার।
এ বেকারত্বের সীমা আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
তিনি বলেন
তথকথিত নেতা নেত্রীদের দৃষ্টি একদিকেই কিভাবে স্বার্থলোটা যায়।কিভাবে দেশের
অর্থ আত্মসাৎ করা যায়। কিভাবে নিজের ভাগ্য
গড়ে তোলা যায়। বিদেশ থেকে হাজার হাজার ডলার সাহায্য এসেছে। কিন্তু অত্যন্ত
পরিতাপের বিষয় গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের
এই সাহায্য লুটপাটের মাধ্যমে মেহনতি মানুষকে বঞ্চিত করে কঠিন বিপদের মধ্যে
নিক্ষেপ করা হচ্ছে। আমরা জাকের পার্টি তা কোন অবস্থাতেই গ্রহন করতে পারি না। আমরা
আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজম্মকে,বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে ঐ সমস্ত তথাকথিত
মিথ্যাবাদী,প্রতারকদের হাতে বন্ধক রাখিনি। রাজনীতির নামে প্রতারণা, রাজনীতির নামে
হিংসা,রাজনিতির নামে হানাহানি,মারামারি,কাটাকাটি,রক্তক্ষয়,রাজনীতির নামে হত্যাকাণ্ড এই সমস্ত দেখার জন্য ৩০ লক্ষ লোক
শাহাদাৎ বরণ করেন নি।২ লাখ মা-বোন তাদের
সম্ভম হারান নি। মহান শহিদদের আত্মাদানকে অপমান করে দেশকে যারা এ অবস্থায় ফেলেছেন
তাদেরকে এখন আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করতে হবে। সে সময় এসেছে।
পীরজাদা
আলহাজ্ব মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী বলেন,আজ আমাদের বাংলাদেশে গনতন্ত্র মুখ
থুবড়ে পড়ছে।বড় দুটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ
নেত্রীদের আজ চোখ দেখাদেখি,মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে গেছে। আমি বিশেষ করে দুই প্রধান
রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে বলবো,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী আপনারা
আপনাদের ইগো পরিত্যাগ করেন।আপনারা কি আপনাদের ইগো,হিংসা,অহংকারকে জাতির উপর
প্রাধ্ন্য দিতে চান?আপনারা কি দেশেকে ডুবিয়ে দিতে চান? আপনারা কি আমাদেরকে কঠিন
বিপদের মধ্যে নিক্ষেপ করতে চান?জাকের পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, যত দাবিই আসুক দুই
নেত্রী না বসা পর্যন্ত কোন কাজ হবে না।১৪ বছর এভাবেই অতিবাহিত হয়েছে।সংসদ অকার্যকর হয়েছে। ১৪ বছর কেন ১৪০ বছরেও কোন সমস্যার সমাধান হবে না। জাকের পার্টির চেয়ারম্যান
দুইনেত্রীকে উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেন, ইগো পরিত্যাগ করেন।ব্যক্তি স্বার্থ ,দলীয়
স্বার্থ জলাঞ্জলি দেন। জাতীয় স্বার্থকে উর্দ্ধে তুলে ধরেন এবং আপনারা সকল
প্রটোকলভেঙ্গে সকাল বিকাল বৈঠক করেন।মুখ না দেখাদেখির এই রাজনিতি বাংলাদেশ ছাড়া আর
কোথাও নেই।
তিনি আর
বলেন,আপনারা দুজন যদি বসেন,কতিপয় রাজনৈতিক ইস্যু যেমন,রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক
আইনশৃংখলা,নিরপেক্ষ নির্বাচন,নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে একমত হিতে পারেন,আমরা আপনাদের সর্বাত্মক সহায়তা দিবো
কথা দিলাম। কিন্তু দেশ আগে বাঁচান।আমাদেরকে মারবেন না। আমাদেরকে মারার অধিকার
আপনাদেরকে দেওয়া হয়নি।তিনি আর বলেন,আজ আপনারা যদি আপনাদের ইগো,হিংসা,অহিংকার,
জলাঞ্জলি ব্দিতে না পারে,জাতিয় স্বার্থকে যদি আপনারা সমুন্নত কতরে না পারেন তাহলে
এদেশের মানুষ আপনাদেরকে রাজনীতি থেকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। তিনি বলেন,আমি
আপনাদের ক্ষতি কামনা করিনা। আমি আপনাদের মঙ্গল কামনা করি। এখন প্রয়োজন জাতীয়
ঐক্যের। এই জাতীয় ঐক্য দুনেত্রীকে এক জায়গায় বসতে হবে। আমি আপনাদের একজায়গায় বসার
অনুরোধ জানায়। আর না বসেন জাতিয় স্বার্থের
চেয়ে ব্যক্তি স্বার্থ বড় করেন তাহলে জাকের পার্টি রাত একলা চলো নীতি অব্যাহত
রাখবে।
আগামি
নির্বাচনে ৩শ’ আসনে প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করবে।তিনি দৃঢ়
কন্ঠে বলেন,দু’নেত্রী যদি ব্যর্থ হয় তাহলে জাকের
পার্টি ৩শ’ আসনে নির্বাচন করবে।আপনারা কি সমর্থন
দেন? এ সময় সমবেত জনতা দু’হাত তুলে
উল্লাস দ্বনির মাধ্যমে তাদের সম্মতি ব্যক্ত করেন। তিনি আর বলেন দু’নেত্রী যদি ব্যর্থ হয় তাহলে জাকের পার্টি ছাড়া দেশবাসির
কাছে আর বিকল্প নেই। জাকের পার্টির চেয়ারম্যান শ্রদ্ধাভরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর
রহমান ও তার পরিবারবর্গের কথা স্বরন করেন এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি
বলেন,শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতার পটভূমি রচনা করেছিলেন।জাকের পার্টির
চেয়ারম্যান দেশের স্বাধীনতায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান উল্লেখ করে
বলেন, এই মহান নেতাকেও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার
আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তিনি বলেন দেশের জন্য যাদের অবদান আছে,সে অবদানস্বীকার
করে নেওয়াই হচ্ছে সবচেয়ে বড় উদারতা।
জাকের পার্টির
চেয়ারম্যান বলেন,আমরা কার উপরে আঘাত করি না। কিন্তু আমাদের উপর যদি আঘাত করার
চেষ্টা করা হয় তাহলে মনে রাখবেন আমাদের দেশের মানুষের হাতে লাঠি আছে,সেই লাঠি দিয়ে
আপনাদেরকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হবে। বাংলার ১৪ কোটি মানুষকে আর শোষণ করতে
দেওয়া হবে না। জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমির ফয়সাল মুজাদ্দেদীর বক্তৃতা
চলাকালীন সময়ে গোটা পল্টন ময়দানে যেমন গনসমুদ্রে পরিণত হয়,পল্টনের আশপাশের এলাকাগুলোতেও তিল ধারনের
ঠাই ছিল না। দেশের ভিবিন্ন অঞ্চল থেকে বাসকাফেলা করে আসা অনেক যানবাহন পল্টন এলাকায় ঢূকতেও পারেনি। শুধু
পল্টন নয়, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম,মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম,গুলিস্থান বংবন্ধু
এভিনিউ,দিলকুশা,রাজউক এনেক্স রোড, বঙ্গভবনের সামনের রাস্তা মুখরিত ছিল হাজার হাজার
মানুষের সরব উপস্থিতিতে।রং-বেরঙের ব্যনার ফেস্টুনি,ক্যাপ,পতাকা,বিশেষ করে
কেরানিঞ্জ থেকে আসা জাকের পার্টি মহিলা ফ্রন্টের বর্ণাঢ্য মিছিল্টি সিকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।সাদা জমিনের উপর
পার্টির প্রতিক গোলাপ ফুলের প্রিন্ট শাড়ি পড়া মিছিল্টি ছিল দৃষ্টি নন্দন।