Header Ads

বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের ২৪ ঘণ্টার ইবাদাত



                      
রাসুলে পাক (সাঃ) কে আল্লাহ স্বয়ং রহমতের সময় সম্পর্কে জানিয়ে দিয়ে বলেনঃ

হে চাদর মুরি ওয়াল! উঠুন,রাতের কিছু অংশ পরে।অর্ধেকরাতের অথবা তার চেয়ে একটু কম অথবা তদাপেক্ষায় এক্টূ বেশি।এবং থেমে থেমে কোরআন তেলাওয়াত করুন।হে রাসুল(সাঃ! নিশ্চয় আপনার প্রতি মূল্যবান বাণী-কাওল ঢেলে দিলাম,অবতীর্ণ করলাম।

পবিত্র হাদীস শরিফের উদ্ধৃতি-“উত্তম ইবাদাত কোরআন তেলাওয়াত করা” এখানে একটি বিষয় প্রনিধান যোহ্য যে, কোরআন তেলাওয়াত উত্তম ইবাদাত,কিন্তু কোন সময় নির্ধারণনেই, এই ধারণা  অধিকাংশের। পবিত্র কোরআনে এই তেলাওয়াতে কালামের জন্য একটা উত্তম সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। অবশ্য কতিপয় ওলামায় কিরাম ে ব্যপারে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন এই বলে, শেষ রাতের কোরআন তেলাওয়াত রাসুল (সাঃ)এর জন্য খাস। হা- যদি খাস হয়,তাহলে বিনাদ্বিধায় স্বীকার করতে হবে যে,রাসুল (সাঃ)যে কাজ করেছেন,যা পরিধান করেছেন, তা উম্মতের জন্য সুন্নাত। যেহেতু সুরা-মুজাম্মেলের ১ম আয়াতে থেকে ৮ম আয়াত পর্যন্ততেলাওয়াতে কালাম ও জিকির সম্পর্কে যে নির্দেশনা এসেছে,তা রাসুল (সাঃ)অবশ্যই করেছেন।অতএ,উম্মতের জন্য শেষ রাতের কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির রাসুলে পাক (সাঃ)এর অনুকরণমূলক সুন্নাত। অন্যান্য পীর এবং ওলামায়ে কেরাম কষ্টের জন্য দ্বীমত মূলক বাহানা করে এই ইবাদাতের গুরুত্ব দিবে না,এবং দেন ও না। কিন্তু বিশ্ব ওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী(কুঃছেঃআঃ)সাহেব সেই কষ্টের ইবাদাতকে এমন সহজ করেছেন যে,জাকেরানদের কাছে এজন্য এই ইবাদাত কষ্ট বোধ হয়না। তাই বিশ্ব জাকের মঞ্জিল দরবার শরিফের ২৪ ঘন্টার ইবাদাতের শুরু হয় রাত ৩.০০টা থেকে।যাকে রহমতের সময় বলা হয়।

রাত ৩টা বাজার সাথে সাথে ঘন্টা বাজান হয় সকলকে উঠার জন্য। ঘণ্টা দেওয়ার পর থেকে শুরু হয় কোরআন তেলাওয়াত হয় ১৫ মিনিট তেলাওয়াতের পর ২৫ মিনিট মিলাদ ও কিয়াম করা হয়, মিলাদের মুনাজাতান্তে মুরাকাবা-মুসাহাদান,ফায়েজ ও জিকির আযানের পূর্বক্ষন পর্যন্ত আযান শেষে ছানি ফায়েজ ১৫-২০ মিনিট। তার পর ফজরের নামাজ,নামাজ শেষে ফাতেহা শরিফ তার পর মোনাজাত,মুজাতান্তে খতম শরিফ(তরিকার ওযিফা)১০০ বার দরুদ শরীফ,৫০০ বার “লাহাওলা ওলা কুয়াতা ইল্লাবিল্লাহ” তার পর পুনরায় দুরুদ শরীফ।তার পরে স্বইচ্ছাই ৩০/৪০ মিনিট কোরআন তেলাওয়াত।রাতের শেষভাগ থেকে শুরুকরে ২৪ ঘন্টা ইবাদাতের প্রথম পর্ব শেষ।

 পৌনে ১টায় যহুরের আযান।১টা ৩০শে জামাত শুরু। নামাজ শেষে নিয়মিত দু’রাকাত নফল নামাজ,তারপর যৌথভাবে দোয়া-মোনাজাত। তারপর রাসুলে পাক (সাঃ)এর মহব্বতের ফায়েজ খেয়াল করে মুরাকা-মুসাহাদা ফায়েজ ও জিকির।প্রায় ১৫-২০ মিনিট জিকিরের পরে মিলাদ-কিয়াম ও মুনাজাত। আসরের পূর্ব পর্যন্ত বিরতি। আছরের নামাজান্তে তওবার ফায়েজ ফেয়াল করে ফায়েজ ও জিকির। তারপর মিলাদ-কিয়াম ও মুনাজানান্তে আছরের কর্ম সূচি শেষ।(এখন মিলাদ-কিয়াম,মুনাজাত শেষে যৌথ ভাবে খাজাবাবার রওজা শরিফ জেয়ারত করা হয়)।

 মাগরিবের আযান। ফরজ ও সুন্নাত নামাজ শেষে ছয় রাকাত আউয়াবিনের নফল নামাজ আনুষ্ঠানিক ভাবেহয়। কিন্তু অনুষ্ঠান ব্যতীত একাকির জন্য দু~রাকাত নফল নামাজ দীর্ঘ মোনাজাত। সাথে সাথে ফজরের ন্যায় ফাতেহা শরীফ পাঠ।
১।তাওবা এস্তেগফার ৭ বার ।
২।সুরা-ফাতিহা ৩ বার।
৩।সুরা-এখলাস ১০ বার।
৪।দরুদ শরীফ ১১ বার।
এর একক নাম ফাতেহা শরিফ।তার পর মোনাজাত। এই বার পাঁচ প্রকারের ফায়েজ খেয়াল করে মুরাকাবা-মুসাহাদা ও জিকির রাত নয়টা অর্থাৎ এশার আযান পর্যন্ত ।ফায়েজ সমুহঃ
১।হাকিকতে তাওবা কবলিয়াতের ফায়েজ।
২।দোসরা দায়রা হইতে কুওয়াতে এলাহীয়ার ফায়েজ।
৩।রাসুলে পাক সাঃ এর খাছ হুব্ব এস্ক মহব্বতের ফায়েজ।
৪।আল্লাহু তায়ালার খাস হুব্ব এস্ক মহব্বতের ফায়েজ।
৫।আনোয়ারে যিকরে এলাহীয়ার ফায়েজ।
এশার আযান শেষে খাজাবাবার নসিয়াত শরিফ পাঠ।রাত ১০টায় এশার নামাজ।ফরজ-সুন্নাত নামাজ শেষে দুই রাকাত নফল নামাজ তারপর দীর্ঘ মোনাজাত। তারপরে বিতেরে নমাজ,বিতরের নামাজ শেষে গায়েরিয়াতের ফায়েজ খেয়াল করে মুরাকাবা-মুসাহাদা ও মুহাসাবা। তারপর ৫০০ বার দরুদ শরীফ সর্বশেষে মিলাদ-কিয়াম মুনাজাত।রাত১১ টায় বিশ্রাম।সংক্ষিপ্ত আকারে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের ২৪ ঘন্টার এ কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।হুজুর কেবলাজানের জাগতিক ওফাত হয়েছে আজ প্রায় ১৬ বছর তাতে উল্লেখিত ইবাদাতের কর্মসূচিতে আরো সংযোজিত হয়েছে। 



                                  

নলাইনে ইনকাম করুন কোন ইনভেষ্ট ছাড়াই বিস্তারিত জানুন         
Powered by Blogger.