Header Ads

“ধণী হতে চাও ,আটরশি যাও”এ মন্তব্য সম্পর্কে জবাব কি?


বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে গেলে মানুষ ধণী হয় !
 “ধণী হতে চাও ,আটরশি যাওএ মন্তব্য সম্পর্কে জবাব কি?
ধনসম্পদ ও রিজিকের মালিক আল্লাহ !
বিষয়টি যদিও গুরুত্ত্ব পূর্ণ নয়,তবুও এক শ্রেণীর মন্তব্যকারীর জণ্য বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া যায়না।সাধারন লোকেরা যখন মন্তব্য করে,তখন সহজ ভাবে মেনে নেওয়া  যায়।কিন্তু এক শ্রেণীর  জ্ঞাণী গুণী  এবং তিনি একজন মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও যখন এই সাধারন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনায় মুখর হয় এবং এই সামান্য বুঝের ব্যাপারটির সাথে যখন একযন মহান ওলীকে তুলনা বা যাচাই করার চেষ্টা করা হয় ,তখন অবশ্যই ঐ শিক্ষিত লোকটিকে কি বলে প্রশ্ন করা যায়,খুজে পাইনা।কারণ বোকায় বোঝে রিজিকের মালিক আল্লাহ।ধণী হতে কেনা চায়।কিন্তু সবাই স্ব-স্ব ব্যবসায় স্বীয় কর্মে আশানুরূপ ফল লাভ করতে সক্ষম হয় ?না ।আবার অন্য জন তার  চাহিদার অনেক বেশি ফল লাভ করতে সক্ষম হয়।কারন কি?কারণ রিজিকের মালিক আল্লাহ।আল্লাহ বলেন,
অর্থাৎ পৃথিবীতে এমন কোন জীব নেই,যার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর উপর ব্যতীত অন্য কারো উপর আছে। তিনি তাদের স্থায়ী ও অস্থায়ী অবস্থান সম্বন্ধে অবহিত।এর সমস্থই প্রকাশ্য গ্রহ্নে আছে।(সুরায়ে হুদ-নং-৬)।
বর্ণিত আয়াতের তাফসিরে ইমাম কুরতুবি (রাহ.) হযরত মুসা আশআরি (রা) গোত্রের একটি ঘটনা উল্লেখ করে বলেন যে ; তারা ইয়ামেন হতে হিজরত করে মদিনা শরীফে পৌঁছালেন । তাদের সাথে পাথেয় স্বরূপ আহার্য পানিয় যা ছিল ,তা  নিঃশেষ হয়ে গেলে তারা নিজেদের পক্ষ হতে একজন মুখ পাত্র হযরত রাসুলে পাক (সাঃ)এর সমীপে প্রেরন করলেন যে , রাসুলে করীম(সাঃ) তাদের জন্য কোন আহার্যের সুব্যবস্থা করেন ।উক্ত প্রতিনিধি যখন রাসুলে পাক( সা)এর গৃহদারে হাজির হলেন তখন গৃহাভ্যন্তর হতে রাসুলে পাক (সাঃ) এর কুরআন তেলাওয়াতের সুমধুর ধ্বনি ভেসে এলো ওমা মিন দাব্বাতিন ফিল   আরদি অর্থাৎ পৃথিবীতে
বিচরনকারী এমন কোন প্রাণী নেই,যার রিজিকের ব্যবস্থা আল্লাহ গ্রহন করেননি।ছাহাবী অত্র আয়াত শ্রবন নিজ করে মন্তব্য মনে করেলেন যে,আল্লাহ স্বয়ং যখন যাবতীয় প্রানীকুলের রিযিকের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং আমার আশয়ারী গোত্রের লোকেরা আল্লাহ তায়ালার নিকট নিশ্চয়ই অন্যান্য জন্তু জানোয়ারেরে চেয়ে নিকৃষ্ট নই, অতএব তিনি অবশ্যই আমাদের রিযিকের ব্যবস্থা করবেন।

এ ধারনা করে তিনি রাসুলুল্লাহ(সাঃ) কে নিজেদের অসুবিধার কথা না বলেই সেখান থেকে প্রত্যাবর্ত্ন করলেন এবং ফিরে গিয়ে স্বীয় সাথীদের বললেন শুভ সংবাদ তোমাদের জন্য আল্লাহর সাহায্য আছে। তারা এ কথার অর্থ বুঝলেন যে,তাদের মুখপাত্র নিজেদের দূরাবস্থার কথা রাসুল (সাঃ) কে অবহিত করারা পর তিনি তাদের আহার্য ও পানিয়ের আশ্বাস দান করেছেন। তাই তারা নিশ্চিত মনে বসে রইলেন। তারা যথাস্থানে উপবেষ্ট ছিলেন, এমন সময় দুই ব্যাক্তি গোশত রুটিপুর্ন একটি বড় খাঞ্চা বহন করে এনে আশয়ারীদের দান করল।অতপর দেখা গেল আশয়ারী লোকদের আহার করার পর ও প্রচুর রুটি গোশত রয়ে গেল।তখন তারা পরামর্শ করে অবশিষ্ট খানা রাসুল (সাঃ) এর সমিপে প্রেরণ করা বাঞ্ছনীয় মনে করলেন।যেন তিনি প্রয়োজন অনুসারে ব্যয় করতে পারেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা নিজেদের দুই ব্যাক্তির মাধ্যমে তা রাসুল(সাঃ) এর খেদমতে পাঠিয়ে দিলেন। তারা খাঞ্চা নিয়ে রাসুল(সাঃ) এর দরবারে গিয়ে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ(সাঃ) আমাদের অতিরিক্ত খাদ্য।তিনি বললেন যে, আমি তো কোন খাদ্য প্রেরণ করিনি তখন তারা পুর্ন ঘটনা বর্ণনা করলেন যে, আমাদের অসুবিধার কথা আপনার কাছে ব্যক্ত করার জন্য অমুক ব্যক্তিকে প্রেরণ করেছিলাম।তিনি গিয়ে একথা বলেছেন। ফলে আমরা মনে করেছি যে,আপনিই খানা প্রেরণ করেছেন। এতদ্ শ্রবনের রাসুলাল্লাহ (সাঃ)বললেনঃ যিনি সকল প্রানীর রিযিকের দাঊইক্ত নিয়েছেন বা মালিক, তিনি খাদ্য পাঠিয়েছেন।

মুলত আল্লাহ রিজিকের মালিক এই পরিপূর্ন জ্ঞানে যাদের ঘাটতি রয়েছে তারাই কেবল এ ধরনের কথা বলে বেড়ায় যে,ধনী হতে চাও আটশিতে যাও। এ কথার ভাব অর্থ এই যেম খাজাবাবা বলেছেন- বাবা, আল্লাহ অন্য সকল জীবের খাবার দিতেছেন।তারপর মানুষ তো আশরাফুল মাখলুকাত এই মানুষের আহারের ব্যবস্থা আল্লাহ সকলের পূর্বেই করেছেন।কেননা সকল জীবই তো মানুষের পরোক্ষ খোরাক। এনারা তো বুঝেন না। এখানে পাঠক মাত্রই বুঝে পারলেন তাদের ঈমান কতদূর।

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ (অতার ঝুকু মান তাশাউ বিগাইরি হিসাব)
অর্থাৎঃ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বেহিসাবি রিযিক দান করেন।
আল্লাহ আরো বলেনঃ(ইন্না রব্বাকা ইয়াব সুতুর রিজকা লিমাইয়াশাও অইয়াকদেরু)
অর্থাৎঃ নিশ্চয়ই তোমার প্রভু যাকে ইচ্ছা করেন প্রচুর রিযিক দান।যাকে ইচ্ছা করে দেন অপ্রচুর।(সুরা-বনি ইস্রাইল)।
মহাগ্রন্থ আল-কোরান যেখানে বলছে- রিযিকের কম-বেশি ও বেহিসাব করার মালিক আল্লাহ, সেখানে আটরশি গেলে ধনী হওয়া যায় বা ধনী হতে চাও আটরশিতে যাও! আটরশি কেন যাবে, ধনী হতে? এসব প্রশ্ন যদি একজন আলেম বা শিক্ষিত লোক করে, তাহলে তার বিশ্বাস আটরশি গেলে ধনী হওয়া যায়(নাউযুবিল্লাহ)আটরশির পীর কেবলাজান কি ধন-সম্পদের মালিক?যেই রিযিকের মালিক আল্লাহ স্বয়ং, সেখানে একজন ওলী আল্লাহকে যারা রিযিকের বা ধন-সম্পদের মালিক মনে করে,তার কি ইমান আছে? শে টো আল্লাহর সাথে শিরিক করতেছে। সে যেন তাওবাহ করে ঈমানকে পরিপক্ব করে। যে ব্যক্তি বলে ধনী হতে চাও আটরশিতে যাও। তার ঈমান চলিয়া গেছে।

 তাকে পুনরায় ঈমান গ্রহন করিতে হইবে। কেন না আল্লাহ তায়ালা সুরা ইমরানে ২৭ নং আয়াতে  বলেনঃবহু বিধর্মীকে আল্লাহ অশেষ সম্পদ দান করেছেন। বর্তমানে যিনি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট ধনী তিনি অমুসলিম। এছাড়াও বহু বিধর্মী বিলিয়ন,মিলিয়ন ডলারের মালিক। তার তাদের পীর তো আটরশির হুজুর কেবলাজান না ।সে কি করে ধনী হল? পবিত্র আয়াতই যেহেতু মুসলিম অমুসলিমের জন্য নিদিষ্ট নয়। সেহেতু,ধন-সম্পদ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা, সেখানে বান্দা হিসাব,মানুষ হিসাবে,ধর্ম হিসাবে নয়। পবিত্র কুরয়ানের ঘোষনায় ধনী নির্ধারণের এখতিয়ার একমাত্র আল্লাহর। মানুষ শুধু তার সাধ্যানুযায়ি চেষ্টার মালিক। দাতা স্বয়ং আল্লাহ। বিশ্বাস একিনে ঘারতি থাকলে তিনি আলেম তো দুরের কথা তার মুসলমানিত্ব নিয়ে প্রশ্ন আসে। সেখানে প্রশ্নটাই  গ্রহনযোগ্য নয়। তবুও যখন প্রশ্ন তখন আনুসাঙ্গিক কিছু কথা ঈমানের জন্য এবং কিভাবে আল্লাহ রিযিক হ্রাসবৃদ্ধি করেন এবং কেন করেন প্রামাণ্য দলিলও বাস্তব যুক্তিসহ আলোচনা করা হবে।  

ওলী গণের কারামত সত্য                                                                                                                                                                       ওলী আল্লাহগণের কারামত সত্য( কারামতে আউলিয়া হক্কুন )। আল্লাহর নির্দেশক্রমে রাসুল পাক (সা:) মজেজা দেখিয়াছেন তাঁর নবুওয়াতির সত্যতা প্রমাণের জন্য। বিধর্মীরা নবী - রাসুল গনের নিকট মজেজা দেখতে চেয়েছে। অন্যদিকে না চাইলেও নবী - রাসুল্গন কর্তৃক আল্লাহ তবারক তায়ালা এমন কার্যকলাপ করিয়েছেন যা সাধারণ বিবেকের ধরবে না। হয্রত  মরিয়ম ( আঃ ) মসজিদের হুজরাই বাস করতেন। তিনি ঈসা ( আঃ ) এর মাতা। ঈসা ইবনে মরিয়ম।পিতা নেই। এটিই অলৌকিকতা। এটিই  মোজেজা। পবিত্র মসজিদে অবস্থানকালে তাঁর গর্ভ হল। আল্লাহ বলেন ভয় নেই , ব্যবস্থা আমি করব। স্বামী ছাড়া সন্তান হবে না , কিন্তু আমি আল্লাহ ব্যতিক্রম করতেও পারি । সন্তান ভূমিষ্ট হল। মরিয়ম (আঃ ) কে আল্লাহ পূর্বেই জানিয়ে দিলেন, তুমি বলবে, আমাকে নয় ঐ সন্তানকে প্রশ্ন করসদ্য প্রসূত সন্তান দলনার অবস্থায় জবাব দেয়, আমার মা নিঙ্কলুষ, পূতঃ পবিত্র সতীসাধ্বী নারী। তার মধ্যে তিল মাত্র কলংক নেই। আমি হলাম আল্লাহর প্রেরিত রাসূল ঈসা রুহুল্লাহ।নবী- রাসুলগনের আগমন, কথা, কাজ, চলন- বলন ইত্যাদি সব কিছুর মধ্যে অলৌকিকতা না থাকলে সাধারন মানুষ তাকে মেনে নিবে না। আল্লাহর ওলীগণও অনুরূপ কিছু না কিছু ক্ষমতাবান হবন । কারণ ঐ ওলী আল্লাহ কর্তৃক আল্লাহ তাঁর সত্য দ্বীন প্রচার করবেন । তাঁর মধ্যে কোন না কোন অসাধারণ কৌশল, যুক্তি ও ক্ষমতা আল্লাহর অবশ্যই দিতে হবে । অন্যথা মানুষ তাকে অবহেলা করবে । তবে যারা অবহেলা করে উড়িয়ে দিবে, তারা সত্য পথ পাবে না । তারাই আবু জাহেল, আবু লাহাবের বংশধর । পক্ষান্তরে যারা সান্ত মস্তিষ্কে ভাবতে চেষ্টা করবে তারা হেদায়াত প্রাপ্ত হবে । ( মাই ইয়াহদিয়াল্লাহু ফাহুয়াল মুহতাদি ।)অর্থাৎ আল্লাহ যাকে পথ দেখাবেন তিনি পথের দিশা পাবেন ।হেদায়াতের মালিক আল্লাহ । কে জান্নাতী, কে জাহান্নামী আল্লাহর আজলে তা আছে । যার ফলে আল্লাহর সর্বজ্ঞাতা, সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা, সর্বোপরি সর্বোশক্তিমান । অতএব যাদের অন্তরে হেদায়েতের  ছোঁয়াচ নেই, তারা হুট করে প্রশ্ন করে বা অবজ্ঞা করে কুমন্তব্য করে উড়িয়ে দেয় । তারা সৎপথ পায়না । আর যারা আল্লাহর দেয়া নেয়ামত, নবীগণের মোজেজা, ওলীগণের কারামত নিয়ে ভাবতে থাকে তারা হেদায়েত প্রাপ্ত হয়েছেন । ছাহাবায় কেরাম এবং কাফেরদের ইতিহাস তার বস্তবতা । বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী ( রাঃ) ছাহেব সেই স্তরের ওলী যার দোয়ায় মানুষ ধনী হতে পারে । বালা-মছিবত, রোগ-শোক, দুঃখ-দৈন্য ইত্যাদি থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে । বিপথগামী মানুষ সৎ পথ পেতে পারে । তবে অনুরুপ স্তরের ওলো ব্যতিরেকে তাঁর পরিমাপ সম্ভব নয় । তাঁর প্রতিটি কাজ, কথা কর্মসূচি, আল্লাহ্র ইবাদতের ধরন ইত্যাদি সব কিছুর মধ্যে অলৌকিকতা বিদ্যমান ভাবুকদের জন্য । প্রকৃত সাধকদের জন্য । খাঁটি পীরগণের জন্য । সর্বোপরি আল্লাহর আজলে (তাকদিরে ) হেদায়াত প্রাপ্ত লকদের জন্য । কেননা খাজাবাবা বলেন- বাবা, যাদেরকে আল্লাহ জান্নাতের মাটি দিয়া তৈরি করেছেন, তারা এ দরবারে আজ হোক কাল হোক আসবে ।কারণ এ দরবার সত্যের দরবার । আল্লাহ- রাসুলের দরবার, ওলীয়ে কামেলের অনুমোদিত দরবার । সত্যের সাধক খাজাবাবা আরো বলেছেন- আমি পীরগিরী করার জন্য আসিনি । আমি একটা দাওয়াত  নিয়ে এসেছি । সে দাওয়াতটি অন্য কারো কাছে নেই ।এ মহামূল্যবান উক্তি তিনিই করতে পারেন, যিনি আল্লাহর প্রকৃত ওলী বা বন্ধু । কারণ এ কথাটির মুল্য এভাবে করা হবে যে, এদেশের এক শ্রেণীর নামধারী পীরের দ্বারে দ্বারে গিয়ে মাইক বাজিয়ে ভ্যাট বাগার আদায়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ওয়াজ নসিহত করার চেষ্টা করেছেন এবং করছেন । বিশ্ব ওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী কেবলাজান হুজুর একটি দাওয়াত নিয়ে এসেছেন । তিনার মাইক বাজানোর আবশ্যক নেই । আল্লাহর রহমতে  স্থানীয় কয়েকজনের কাছে এ সত্য বানী পৌঁছে দিয়েছেন । তারাই পাগল হয়েছে অন্য লোকদেরকে সত্যের এ দাওয়াত শোনানোর জন্য । যেমন মদীনা মুনাওয়ারায় বসে রাসুলে পাক (সাঃ ) ছাহাবাদের ও কাছেদের মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াত পাঠিয়েছেন । আইয়্যামে জাহেলিয়াত যুগের সর্বস্তরের মানুষ যেন পঙ্গপাগলের মত ঐ দাওয়াতে সাড়া দিয়ে সত্যের পথে চলে আসলেন । দ্বীনের দাওয়াতের উদ্দেশ্যে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি এবং যাননি । দয়াল নবী রাসূলে পাক (সাঃ) এর এই দাওয়াতের মধ্যে আল্লাহ প্রদত্ত তাছিরমূলক নূর ও তত্ত্ব ছিল । তাই এ দাওয়াত শুনতেই হবে ।বিশ্বওলী খাজাবাবা তো পূর্বেই রাসুলে পাক (সাঃ) এর ন্যায় মাতৃভূমি ছেরে আটরশি হিজরত করেছেন ।পালকি, দুলকি, বোট, গাড়ী তথা আসকান সাজিয়ে কোথাও গেলেন না । কোটি কোটি লোক কি করে এ দরবারে আসলে, কে আনলো, বাইরের রাষ্ট্র থেকেও আসলো, কারণ কি? কারণ একটাই, খাজাবাবার সেই মহামূল্যবান বাণী, আমি একটা দাওয়াত নিয়ে এসেছি ।যারা আল্লাহর তরফ থেকে  হেদায়েত প্রাপ্ত  (আল্লাহর আজলে স্বরগবাসী)তারা খাজাবাবার কাছে এ দাওয়াত গ্রহণ করতে আসতে বাধ্য।এখন বুঝতেই পারছেন,ঐ স্থান থেকে বের না হওয়ার মূল্য কতখানি।বিশ্ব অলী খাজাবাবা ফরীদপুরী তার দরবার থেকে কেন বের হয়ে ওয়াজ নসীহত করেননি?এ ধরনের প্রশ্ন কতিপয় আলেমরাও করে থাকেন।তারা রাসুলে পাক (সঃ) এর প্রকৃত ইতিহাস থেকে অজ্ঞ।রাসুলে পাক (সঃ) মদীনায় হিজরত  করার পর মসজিদে নববীতে অবস্থান করেন।ইসলামের দাওয়াত ও প্রশিক্ষন দিয়েছেন।ভ্যাটবাগারের বিনিমে বাড়ি বাড়ি দাওয়াত দিতে জাননি।বিশ্ব নবীর প্রকৃত নায়েবের কি প্রয়োজন,কেন প্রয়োজন,তা সেই মালিকই ভাল জানেন।(রিযিকের মালিকত আল্লাহ)আল্লাহর দাওয়াতের দায়িত্তে পাঠিয়েছেন যাকে,তারতো রিজিকের বিষয় নিয়ে ভাবার প্রশ্নই আসেনা।এমন সহজ কর্মে রিজিকের ব্যবস্থা হবে,যাতে তার দিন কায়েম ও প্রচারে বিঘ্ন না ঘটে।তানার মুরিদানের মধ্যে ঐ রকম কিছু যোগ্য লোক আল্লাহ তৈরী করবেন।যাদের মাধ্যমে এই দাওয়াতের কোন না কোন উপায় খেদমত হয়।তার জন্যই অলী আল্লাহর দোয়া।এমনটিও হতেই পারে।আল্লাহ সরাসরি যাকিছু করেন তার চেয়ে বেশি কয়েকগুন বেশী করেন ওসীলার মাধ্যমে।যার তুলনা হযরত ওসমান (রাঃ) এর সম্পদ,হযরত আবু বিকর (রাঃ) এর ঈমান,হযরত ওমর (রাঃ) এর কুওয়াত,এবং হযরত আলী (রাঃ) এর জ্ঞান,ঈমান ও কুওয়াত।সবই দয়াল নবী রাসুলে পাক (সঃ) এর সত্য দ্বীন প্রচারের বিরাট আকারের অসীলা।ঐ জাহিলিয়াতের জামানায় হযরত আবু (রাঃ)এর মত কঠিন ঈমানি শক্তির মত মহান সাহাবী রাসুলে পাক (সাঃ) এর সঙ্গী না হলে তার ইসলামের দাওয়াতে কে সহায়তা করতেন!অনুরুপ হযরত অসমান (রা) সম্পদ,হযরত ওমর (রাঃ) এর অসীম সাহসীকতা ও হযরত আলী (রাঃ) এর জ্ঞানী শক্তি।এ সবিই ছিল ইসলাম প্রচারের উসীলা।পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে,নবী-রাসুল এবং অলী আল্লাহগণ দুনিয়াতে আবির্ভূত হলেই তার মধ্যে অসংখ্য অলৌকিকতা থাকবে।ঐ অলৌকিক শক্তির বলে তারা এমন কিছু কর্মকাণ্ড করবেন,যা সাধারণ লোকের কাচফে আশ্চারযজনক মনে হবে।
আর সেই অলৌকিকতা দেখে তারাই হেদায়েত প্রাপ্ত হবেন,যাদের জন্য আল্লাহর তরফ থেকে হেদায়েত নির্ধারিত। পক্ষান্তরে তারাই বিপথগামী হবে,যাদের জন্য আল্লাহর পক্ষথেকে সত্য সঠিক পথ মঞ্জুর নেই।নবী-রাসুলগন তথা অলী আল্লাহগন স্বেচ্ছায় ক্ষমতা প্রয়োগ করেননা।নবী-রাসুলগনের (সাঃ) কথা ভিন্ন।অলী আল্লাহগন তাদের অলৌকিক ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য যিনি নিযেই উদগ্রিব হবেন  তিনি হয় ভন্ড পাগল,না হয় সে প্রকৃত অলী নয়,প্রতারক।অন্যদিকে মানুষকে পথে আনার জন্য ক্ষেত্রবিশেষ কারামত দেখাতে অলী আল্লাহগন বাধ্য হন।তাও আল্লাহর তরফ থেকে হয়।নিজের প্রবল ইচ্ছায় বা বাসনায় কারামত হয়না।যদি কেহ করেন,তা কারামত নয় যাদুর ব্যাপার বা ধোকাবাযি।রাসুলে পাক (সঃ) চন্দ্র দ্বিখন্ডিত করেছেন।এ মোজেজা পূর্ব থেকেই নির্ধারিত।যা ইঞ্জিল কিতাবে ঈসায়ী সপ্রদায় জানতেন।হযরত মঈন উদ্দীন চিশতি (রহ) গোটা আজমীরের আনা সাগরের সকল পানি একটা ঘটির মধ্যে এনেছিলেন।পৃথ্বিরাজের প্রেরিত সেনাপতিও সৈন্যের আকক্রমন থেকে আত্মরক্ষার জন্য এক মুষ্টি কংকর নিক্ষেব করতে বাধ্য হন।ঐ নিক্ষিপ্ত কংকরে পৃথ্বিরাজের সৈন্যদের চোখ,কান বন্ধ হিয়ে গিয়ে ছিল।অনেকের  হাত পা ভেঙ্গে গিয়েছিল।বহু সংখ্যক সৈন্যের মৃত্যু হয়েছিল।এ সবই আল্লাহর রহমতে।মাধ্যম তিনি।যাতে বিধর্মীরা আতংকগ্রস্থ হয়ে সত্য দ্বীন বুঝতে চায় এবং গ্রজণ করে।কেননা এই মহাশক্তিই আল্লাহ।হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহ) এর নিক্ষিপ্ত এক মুষ্টি বালুর আঘাতে সম্রাট আকবরের দ্বীনে এলাহীর মঞ্চসহ সকল লোকজন উড়ে গিয়েছিল।সম্রাট আকবর ভিষণ আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ছয় দিন পরে ঐ কারনেই মৃত্যু হয়েছিল।এ রকম অসংখ্য ঘটানাবলি আছে,যার ফলে বহু বেদ্বীন দেঈনের পথে এসেছে।

নবি-রাসুল(সাঃ) গনের দোয়া এবং অলৌকিক ঘটনা মোজেজায় পরিণত হয়।রাসুলে পাক(সাঃ) যার জন্য দোয়া করতেন, তার পরবর্তী কয়েক পুরুষ পর্যন্ত সেই দোয়া কার্যকারী হয়েছে। হযরত ইবনে মালেক (রাঃ) রাসুলে পাক (সাঃ)এর খেদমতে আরজ করলেন-ইয়া রাসুলাল্লাহ, যারা ইসলাম কবুল করেছেন আপনি তাদ্র জন্য দোয়া করেন। দয়া করে আমার জন্য একটু দোয়া করুন যেনামার মঙ্গল হয় এবং আমার যেন অভাব না থাকে।রাসুলে পাক (সাঃ) দোয়া করলেন, হে আল্লাহ! ইবনে মালেকের মাল-দৌলতে ও আওলাদে বরকত দান করুন এবং তাকে সুখ শান্তি দান করুন। হযরত আনাস ইবনে মালেক বর্ণনা করেন ,রাসুলে পাক (সাঃ) এর এই দোয়ার ফলে আমার ধন-দৌলত, আওলাদ-ফরজন্দ,সুখ-শান্তি এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে, দুনিয়ার অন্য কেহ বোধ হয় আমার মত সুখি হয়নি বা শান্তি লাভ করেনি।কোন প্রকারের অভাব,দুঃখ, কষ্ট ও চিন্তা-ভাবনা কোনদিন আমাকে বিন্দু মাত্র স্পর্শ করতে পারেনি।

হযরত রাসুলে পাক (সাঃ) আব্দুর রহমান ইবনে আউফের জন্য দোয়া করার ফলে তার অবস্থা এমন হয়েছিল যে, তিনি নিজেই বর্ণনা করেছেন, আমি কোন স্থান থেকে একখন্ড পাথর উঠালেও সুনো-রুপা পেতাম। এই দোয়ার পূর্বে তিনি খুবই গরিব ছিল।তিনি আশারায় মোবাশ্বারার মধ্যে একজন ।তিনি অগণিত অর্থ সম্পদ ইসলামের খেদমতে এবং দিন দুঃখীদের দান করে গিয়েছেন।

বর্ণিত আলোচনায় ইহা প্রতিয়মান হলো যে, ধনী-বির্ধন যেমন আল্লাহর এখতিয়া,তেমনি নবী-রাসুল (সাঃ) তথা ওলী আল্লাহগনের দোয়ার বরকতেও আল্লাহ ধন সম্পদ দান করতে পারেন এবং করেন। কারন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ছিলেন গোপন। আল্লাহ স্বয়ং নিজের প্রকাশ করার জন্য নবী-রাসুল (সাঃ) প্রেরণ করেছেন বিধায় আল্লাহ তাঁরদের কথা অবশ্যই শুনবেন। অন্যথায় তাঁর(আল্লাহ) এবং তাঁর সত্য দ্বীন তাঁরা প্রকাশ করতে পারবেন না। রাসুলে পাক (সাঃ) এরশাদ করেনঃ- আল্লাহ বলেনঃ-
কুন্তু কানজান মাখফিয়ান ফাআহবাবতু আন আরাফা ফাখালাকতুল খালক লিউরাফা। 


অর্থাৎঃ- আমি গোপন একটা খনি ছিলাম।অতএব আমার খায়েশ হল আমি প্রকাশিত হব। আমি সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করিলাম।যাহাতে আমি প্রকাশিত হই।

নবি-রাসুলগনের পরে এই দায়িত্ব আদায় করেন ওলী আল্লাহগন।অতএব আল্লাহর ওলীগনের দোয়া আল্লাহ ফেলে দেন না। বিশ্ব ওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী কেবলাজান হুজুরও নিঃসন্দেহে আল্লাহর সেই স্তরের মোজাদ্দেদ। এ সম্পর্কে  স্পষ্ট ধারণা আমাদের আগের লেখার মধ্যে পাঠ-পাঠিকাগন নিশ্চয়ই বুঝতে সক্ষম হয়েছেন যে, তিনি কোন স্তরের ওলী এবং তাঁর দোয়া আল্লাহ কবুল করেন কি-না।    



প্রকৃত আবেদ ধণী হতে পারেঃ
রহমতের সময়ের ইবাদতে মানুষ ধণী হয়।এত দসত্ত্বেও বিশ্বওলী সত্যের মহা সাধক খাজাবাবা ফরিদপুরি কেবলাজান হুজুর আল্লাহর ইবাদাতের যেই প্রশিক্ষন দিয়ে গেলেন, তার অনুসরণ ও অনুকরণ করলেও মানুষ পার্থিব জগতে এবং পরকালে কোন সমস্যায় পড়বেনা।যেমন নিশির শেষভাগ রহমতের সময়।অর্থাৎ রাত তিন ভাগের দুই ভাগ অতিক্রম হলে তৃতীয় ভাগ বা রাত তিনটার সময়।আল্লাহ তায়ালা রহমত বিতরণের জন্য পৃথিবীর নিকটতম আসমানে অবর্তিণ হন এবং রহমত নেয়ার জণ্য বান্দাদের ডাকেন।এই হাদিস খানা খাজাবাবা ফরিদপুরী  তার পরিচালনা পদ্দতি নসিহত বই খানায় উল্লেখ করেছেন (তিরমিজি ১ম খন্ড,বোখারী শরীফ ১ম খন্ড ) রহমতের দরজা খুলিয়া বান্দাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলিতে থাকেন, হে আমার বান্দা সকল!আমি তোমাদের জণ্য রহমতের দরজা খুলিয়া দিয়াছি।কে আছ রহমত লইয়া যাও।যদি অনাবিল শান্তির অধিকারি হতে চাও, তবে তোমাদের রিদয়ের কপাট খুলিয়া আপন মনের যত দুঃখ-বেদনা, যাতনা, কামনা,বাসনা যাহা কিছু আছে আপন আপন পরয়ারদেগারের নিকট পেশ কর।তোমাদের দরখাস্ত প্রত্যাখ্যান করা হইবেনআ।তা এই কারণে যে,তামাম পৃথিবীর অলী আল্লাহ সকল এই মহামূল্য সময়্ব আল্লাহ তায়ালার রহমতের দরজায় আপন আপন দিলের ঝোলা পাতিয়া বসিয়া আছেন।এই সময় কাহার দরখাস্ত প্রত্যাখ্যান করা হইলে অলী আল্লাহদেরকে অবমাননা করা হয়।কাজেই তোমরা যাজা চাইবার চাও।যাহাই নেওয়ার তাহা নাও।

নিয়মিত রহমতে উঠে যদি কোন লোক এমনি প্রার্থনা জানাতে সক্ষম জয়,আল্লাহ নিজেই ওয়াদাবদ্ধঃ তুমি আমার রহমত হইতে নৈরাশ হইওনা।(কুরয়ান)যত পাপি হক আল্লাহ যে কোন মুহূর্তে তাকে ক্ষমা করতে পারেন।এই আশাব্যঞ্জক এবং কবুলিয়াত যোগ্য ইবাদাতের প্রশিক্ষানাগার বিশ্ব জাকের মঞ্জিল।এ প্রার্থনা কারী এবং উপসনাকারীর প্রতি খাজাবাবার দোয়া থাকে।অতএব ধণী তো হতেই পারে।কবুলিয়াত যোগ্য নামাজিকে আল্লাহ ধণী করবেন।(অস্তায়ীনু বিচ্ছবরি অচ্ছালা)।নামাজ ওছবরের মাধ্যমে আমার কাছে সাহায্য প্রার্থনা কর।ছাহাবায়ে কেরাম যে কোন সমস্যায় পড়ার সাথে সাথে নফল নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন।বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে খাজাবাবা ফরিদপুরী ঐ নামাজের প্রশিক্ষণ দিলেন যেই নামাজ আল্লাহ কবুল করেন।অতএব ধণী হওয়া স্বাভাবিক।বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের নামাজ অধ্যায়ে এর বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

নিয়মিত যাকাতা ফেৎরা আদায় ও দানের সম্পদে ঘাটতি নেই,বরং বৃদ্ধি পাবে
যাকাতের মাল অক্ষয়।যাকাতের মালের কমতি হবেনা।দানে সম্পদ বৃদ্ধি পায়,কমে না।আল্লাহ বলেন-উচ্চারণঃআল্লাজিনা ইউনফিকুনা আমওয়ালুহুম বিল লাইলি আননাহারি ছিররাও অলানিয়াতান ফালাহুম আজরুহুম ইন্দা রব্বিহিম অলাখাউফুন আলাইহিম অলাহুম ইয়াহজানথা।
অর্থাৎযারা স্বীয় ধন-সম্পদ অকাতরে খরচ করে রাতে ও দিনে,গোপনে এবং প্রকাশ্যে,তাদের জণ্য আল্লাহর নিকট পুরুস্কার রয়েছে এবং তাদের কোন ভয় বা চিন্তা নেই।(সুরায়ে বাকারাহ -২৭৪)
উচ্চারণঃইয়া আইউ হাল্লাজিনা আমানু আনফিকু মিনাত ত্বইয়্যেবাতে মা কাসাবতুম অমিম্মা আখরাজনা লাকুম মিনাল আরদি অলা তাইইয়ামমামুল খবিছা মিনহু তুনফিকুনা অলাসতুম বিআখিযিহী ইল্লা আনতুগমিদু ফি-হী, ওয়ালামু আন্নাল্লাহা গানীয়ূন হামিদ।আশসাইতানু ইয়ায়ীদুকুমুল ফাকরা অইয়ামুরুকুম বিল ফাহসায়ে,অয়াল্লাহু ইয়ায়ীদুকুম মাগফিরাতাম মিনহু অফাদলা অল্লাহু অসিউন আলিম।
হে ইমানদারগন! তোমরা যা উপার্জন কর এবং আমি যা ভুমি থেকে তোমাদের জণ্য  উতপাদন করে দেই,তন্নধ্যে যা উৎকৃষ্ট তা ব্য্য কর এবং উহার নিকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করার সংকল্প করো না।অথচ তোমরা তা গ্রহন করার নও।যদি না তোমরা চক্ষু বন্ধ করে থাক এবং এবং যেন রেখ আল্লাহ অভাভমুক্ত এবং প্রশংসিত।শয়তান তোমাদের দারিদ্রের ভয় দেখায় এবং অশ্লীলতার নির্দেশ দেয়।আর আল্লাহ তোমাদেরকে তার ক্ষমা এবং অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।আল্লাহ প্রাচুর্যময়,সর্বজ্ঞ।(সুরায়ে বাকারাহ-নং ২৬৭-২৬৮)
আল্লাহ অয়াদাবদ্ধ, দানের বিনিময় দান করবেন।আল্লাহর এ অয়াদার উপর যার বিশ্বাস নেই, তার ঈমান নেই।বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী এই আয়াতের উপর পরিপূরণ বিশ্বাস নিয়ে বলেছেন-বাবা, আমি এক টাকার বিনিময় সত্তর টাকা আল্লাহর তরফ থেকে আদায় করে না দিয়ে দান গ্রহণ করি।এর অর্থ বিশ্ব ওলীর দরবার, সত্যের দরবার।তিনি আল্লাহর তরফে দরখাস্তের মাধ্যমে এ দাবি করে থাকেন।কেননা জাকেরদের এই দানের টাকা দিয়ে ব্যক্তিগত কোম সম্পদ তিনি করেননি।নিজের জন্য বাড়ি-গাড়ী করেননি।বরং এই সত্যদ্বীন কায়েম করার জন্য ব্যয় করেছেন।
যার ফলে তিনি জাকেরদের এই দানের টাকা নিজের টাকা হিসাবে গ্রহণ করতেন না,বিধায় তার উপর শরীয়ত মোতাবেক হজ্জ ফরজ ছিলনা।যেহেতু তিনি কখনও কোন চাকরি করতেন না বা সে রকম কোন ব্যবসাও করতেন না।খাজাবাবা এই সত্য তরিকার প্রশিক্ষনের জন্য নাম মাত্র অত্যাবশ্যকীয় সামান্য ভাতা গ্রহণ করতেন।এই দৈন্যদশার মধ্যে কালাতিপাত করেও সত্য দ্বীনের প্রচার ও প্রশিক্ষণে বিরত হতেন না।এর সাথেই রিয়াজতে আত্মনিয়গ করতেন।রাসুলে পাক (সঃ)এর প্রতি আল্লাহর নির্দেশ ছিল-
উচ্চারণঃ ফাইজা ফারাগতা ফাংছব,অইলা রব্বিকা ফারগব।
হে রাসুল (সাঃ)আপনি যখনি অবসর পান তখনি ইবাদাতে প্রবৃত্ত হন এবং আপনার রবের দিকে মননিবেশ করুন।(সুরায়ে আলামনাশরাহ-৮)।অনুরুপ দৈন্যদশার সাথে লড়াই করে খাজাবাবা সত্য দ্বীনের দাওয়াত ও প্রশিক্ষণের কর্মসূচীর অবসরকালীন সময় বিনিদ্র রজনী কাটিয়ে রিয়াজতে মসগুল তাকতেন।একেই বলে নায়েবে নবীর দ্বায়িত্ব পালন।

যা কিছু জাকেরদের দান তা তিনি এই দ্বীনের প্রচার প্রসারের কাজে সঠিকভাবে ব্যয় করতেন। যার বাস্তবতা সমস্ত দরবার শরিফ জাকেরদের নামে ট্রাস্ট করা। যেহেতু তিনি নিজের বা জাকেরদের দানের টাকা অপব্যবহার হবে এ রকম কোন ধ্যান-ধারনা করতেন না, বরং আল্লাহর দ্বীন প্রচারের স্বার্থে গৃহিত দান আল্লাহর পথেই ব্যয় হবে। এ দানের বিনিময় আল্লাহ অবশ্যই দিবেন ।ঈমানের এই পরিপক্বতায় বিশ্ওলী ফরিদপুরী কেবলাজান  হুজুর বলেছেন আমি এক টাকার বিনিময়ে সত্তর টাকা অনুমোদন না করিয়ে তোমাদের দান গ্রহণ করি না।
আল্লাহ আবার বলেন-
উচ্চারণঃঅমা আনফাকতুম মিন নাফাকাতিন আও নাজার তুম মিন নাজারিন,ফাইন্নাল্লাহা ইয়া লামুহু অমালিজ জালেমিনা মিন আনছার।ইনতুবতুছ ছাদাকাতি ফানিয়িম্মাহিয়া অইন তুখফুহা অতু,তুয়াল ফুকারায়া ফাহুয়া খাইরুল্লাকুম,অইউকাফফিরু আনকুম মিন সাইয়্যে আতিকুম অল্লাহু বিমা তামালুন খবিরা।
অর্থাৎ তোমরা যা কিছু খরচ কর সম্পদ থেকে কিংবা যা কিছু মান্নত কর আল্লাহ তা জানেন।বস্তুত জালেমদের সাহায্যকারি কেউ নেই।যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান কর তবে তা উত্তম।কিন্তু সঙ্গোপনে গরীবদিগকে প্রদান করা তোমাদের জন্য আর উত্তম।আল্লাহ তোমাদের গুনাহ মাফ করবেন।আল্লাহ তোমাদের কার্যাবলী সম্পর্কে অবহিত।(সুরায়ে বাকারা-২৭০-২৭১)
আল্লাহ বলেনঃ উচ্চারণঃঅমাতুনফিকু মিন  খাইরি ফালিয়ানফুসিকুম।ওমা তুনফিকুনা ইল্লাবতিগায়া অজহিল্লাহী।অমা তুনফিকু মিন খাইরিন ইউঅফফা ইলাইকুম অয়ানতুম লা-তুজলামুন।অর্থাৎ উত্তম বস্তু থেকে যা খরচ করবে তবে তা নিজেদের উপকারেই আসবে।তোমরা খরচ কর কেবল আল্লাহর রেজামন্দির উদ্দেশ্যেই;উত্তম যা খরচ করবে তার প্রতিফল দেওয়া হবে,তোমরা অবিবেচিত হবে না।(সুরায়ে বাকারা-২৭২)দানের টাকার বিনিময় আল্লাহ দিবেন,এ ব্যপারে আল্লাহ সরাসরি বলেন,আল্লাহর রেজামন্দির জন্যে যা তোমরা ব্যয় করবে তার প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে। বিশ্ব ওলী খাজাবাবা ফরিদ পুরী কেবলাজান হুজুর (আল্লাহর নির্দেশ মালের যাকাত প্রদান ) জাকেরদেরকে যথারীতি যাকাত আদায় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন এবং আদায় করার ব্যবস্থা গ্রহন করেন ।যার বাস্তবতা দরবারের বিভিন্ন খেদমত এক একজন জাকের বছরে কত টাকা দান করেন, তার সংখ্যা নিরুপণ কঠিন ব্যাপার ।
দানের বিনিময়ে আল্লাহ দুনিয়াতে সম্পদ আরো বৃদ্ধি করবেন এবং পরকালে নাজাতের ব্যবস্থা করবেন ।
      বিশ্ব ওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী কেবলাজান হুজুরের দরবারের মুরিদান, জাকেরান,আশেকান,দুনিয়া আখেরাতের কল্যানের ও মুক্তির আশায় অকাতরে স্বেচ্ছায় দান-সদকা,যাকাত-ফেতরা,আদায় করে থাকেন।হুজুর কেবলাজান উভয় পথের হাতে-কলমে শিক্ষা দিতেন। দরবারের সাথে সংশ্লিষ্ট তথা মুরিদানগন দরবারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বে-হিসাব খেওমত করে থাকে। প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে জাকেরান,আশেকান, যে খেদমত করে থাকেন তার বিনিময় দান কারী আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, দাতার মনের খবর জানেন।নিবেদিত প্রানে দান কারি আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিদানে ধনী হতে প্রতিবন্ধক কোথায়? খাজাবাবা এই টাকা নিজের জন্য ব্যয় করতেন না।দরবারের উন্নয়ন,লিল্লাহ বডিং,জাকেরদের থাকা-খাওয়া,মসজিদ-মাদ্রাসা ও পাড়া-প্রতিবেশীর জন্য খরচ করতেন। অতএব আয়-ব্যয় সবই আল্লাহর উদ্দেশ্যে হয়।সত্যের বাস্তবতা ইহাই। বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের সাথে সংশ্লিষ্ট জাকেরান,আশেকান,প্রতিনিয়ত কি পরিমান দান-সদকা ও খেদমত করে থাকেন।

Powered by Blogger.